সিনেমার যাত্রাকালে এত প্রচারমাধ্যম ছিল না। বেতার আর পত্রিকার বিজ্ঞাপন ছিল সিনেমা প্রচারণার বড় মাধ্যম। সিনেমার পথচলার প্রথম পাঁচ দশক পত্রিকা আর বেতারই বা কয়জন মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছিল? অথচ সিনেমা পৌঁছে গিয়েছিল শহরের উচ্চবিত্ত থেকে প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়া পর্যন্ত। কীভাবে? উত্তর একটাই, সিনেমার...
ও রসিয়া নাগর, আমার মন পিঞ্জিরার মন— তুমি আমার আমি তোমার প্রেমেরই বাঁধন ওগো প্রেমেরই বাঁধন…
সুরকার ইউনুস আলীর চমৎকার সংগীতায়োজনে সফদার আলী ভূঁইয়া পরিচালিত ‘রসের বাইদানী’ (১৮/০৫/১৯৮৪) চলচ্চিত্রের এ গান ছিল তখনকার সময়ের তুখোড় জনপ্রিয়তা পায়।
সে সময়ের রেডিওতে নিয়ম করে বাজানো হতো গানটি।...
ফার্স্ট ডের ফার্স্ট শোতে হাজির হয়ে গেছি ঢাকার পূরবী হলের সামনে সালমান-শাবনূরের ‘তোমাকে চাই’(২১/০৬/১৯৯৬) দেখবো বলে। এমনিতেই রেডিওর বিজ্ঞাপন তরঙ্গে বাজানো ছবিটির গান আর সংলাপ শুনে শুনে আগ্রহ তখন চরমে, তার ওপর আবার সালমান-শাবনূরেদের মতো তারকারা। এ যেন একেবারে সোনায় সোহাগা!
যাই হোক, মর্নিং শো...
বাংলা চলচ্চিত্রে যে কজন গুণী মেধাবী পরিচালক ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন জনাব আমজাদ হোসেন সাহেব, যিনি একাধারে লেখক, চিত্রনাট্যকার, কাহিনিকার, গীতিকার, অভিনেতা ও চিত্র পরিচালক।
তার পরিচালিত চলচ্চিত্র মানেই একেবারে মনের গভীরে ছুঁয়ে যাওয়া, অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার গল্প। যার চলচ্চিত্রে থাকে মা-মাটি...
দুই পর্বের লেখার শেষ পর্ব। প্রথম পর্ব।
স্বর্ণালি দিনের ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির প্রতি আগ্রহ ছিল না সে সময়ের বাংলা সিনেমার দর্শকদের মাঝে এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। বড় বড় রাজপ্রাসাদ, নায়ক-নায়িকাদের বাহারী পোশাক, হাতি-ঘোড়া দৈত্য-দানব থেকে তলোয়ার ঝনঝনানির সঙ্গে নাচে-গানে যেন পুরো ছবি জুড়েই থাকত...
বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণালি যুগ বলতে নব্বই দশক পর্যন্ত ধরা হয়। মূলত এই দশক পর্যন্তই এসেছে বিভিন্ন ধারার চমৎকার চমৎকার সব চলচ্চিত্র, যে সব চলচ্চিত্র রাঙিয়েছে আমাদের বিনোদন অঙ্গন। প্রযোজক-পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে সমস্ত কলাকুশলীদের একান্ত প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র অঙ্গন ছিল আলোকিত। শুধু...