আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে এই পৃথিবীর জন্ম। বিচিত্র এই পৃথিবীর সৃষ্টির রহস্য নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই এবং এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র যে মানুষই বসবাস করে এমন নয়, মানুষ সহ অনেক জীবজন্তু কীট পতঙ্গ এবং গাছপালা ও বসবাস করে। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রাখার জন্য কীটপতঙ্গ থেকে আরম্ভ করে গাছগাছালি এমনকি সমস্ত প্রাণী এই পরিবেশের ভারসাম্যকে বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবেশের এই ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকটা জীবজন্তু এমনকি গাছগাছালিও সযত্নে রাখা উচিত। কারণ যতদিন এই পৃথিবীতে প্রাণ থাকবে প্রত্যেককে প্রত্যেকের জন্য আমাদের প্রয়োজন।
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এবং বিলুপ্তপ্রায় কিছু প্রাণী এবং কিছু উদ্ভিদ কে বাঁচানোর জন্য জাতিসংঘ থেকে ৩রা মার্চ (3rd March) বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দিবস (Wildlife day)ঘোষণা করা হয়। বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দিবস সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে গিয়ে আমরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ফটোগ্রাফার আকাশ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলি এবং সেখান থেকে আমরা আরো জানতে পারি যে ছাত্র জীবনের প্রথম প্রথম এসকারশনে যাওয়ার সুযোগ আসে এবং সেখান থেকেই তিনি রণথম্বোর ও ভরতপুরের মতন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পান। সেখান থেকেই তাঁর প্রথম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ফটোগ্রাফার হওয়ার ইচ্ছা বিকশিত হতে থাকে এবং সেই মতো তিনি এটাকে নিজের ভালোবাসায় পরিণত করেছেন। তাঁর থেকে আমরা আরও জানতে পারি যে, বিভিন্ন ঋতুতে পশুপাখিদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের জৈবিক ক্রিয়ার তারতম্য দেখা যায়। তিনি উদাহরণস্বরূপ বলেন, পাখিদের জন্য সবথেকে উল্লেখযোগ্য জায়গা হচ্ছে রাজস্থানের ভরতপুর।
এই উদ্যানটি পরিযায়ী পাখির আয়োজন করে। বিশেষ করে শীতের ঋতুতে, যখন ইউরেশিয়ার আরও উত্তরে শীতের ক্রোধ থেকে বাঁচতে অনেক বিভিন্ন প্রজাতি ভারতীয় উপমহাদেশে উড়ে আসে । অন্তত 400টি এভিয়ান প্রজাতির মধ্যে উল্লেখ করা বা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, কেওলাদেও একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রকৃতি ভ্রমণ গন্তব্য, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয়ভাবেই।
প্রজাতির সম্পদ অনেক অপেশাদার এবং পেশাদার পাখি পর্যবেক্ষক এবং বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফারদের পাশাপাশি হাইবারনাল ঋতুতে অসংখ্য পক্ষীবিদকে প্রলুব্ধ করে , যাঁরা পরিযায়ী পালের স্বাস্থ্য, সংখ্যা এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।