হিলসা মাছ বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ। এটি সাধারণত বাংলাদেশের নদীগুলি, খালগুলি এবং সাগরে পাওয়া যায়। হিলসা মাছের স্বাস্থ্যগত উপকার অনেকগুলি রয়েছে, যা এই মাছটিকে একটি অত্যন্ত পুষ্টিগ্রহী ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে পরিচিত করে।
হিলসা মাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এই মাছের প্রতি ১০০ গ্রামের পরিমাণে প্রায় ২২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, যা শরীরের শিক্ষার্থী কোষকে সুস্থ ও সম্পূর্ণ বিকাশে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হিলসা মাছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ প্রতি মেয়াদে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই অ্যাসিডগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের সুস্থ উন্নতি ও মানসিক সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হিলসা মাছে প্রায় ১৪% আয়রন পাওয়া যায়, যা আনেমিয়া রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অধিকাংশ গুণগুলি রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ও বৃদ্ধি করে, যা স্বাস্থ্যসম্মত রক্ত প্রসারণ ও অক্সিজেন পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয়।
তাছাড়াও, হিলসা মাছে ভিটামিন এ এবং ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং অস্থিমজ্জা উন্নতি ও হাড়ের নির্মাণে সাহায্য করে।
সারাদিনের মধ্যে প্রতিটি মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে, এবং হিলসা মাছ এই প্রয়োজনীয়তার অনেকগুলি অংশ পূরণ করে। এই মাছের পুষ্টিগুণ মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি একটি পুষ্টিগ্রহী খাদ্য হিসাবে পরিচিত করা হয়েছে। তাই, প্রতিদিন হিলসা মাছ খেতে আপনার স্বাস্থ্য বানানোর জন্য একটি পদক্ষেপ হতে পারে।